জাল সিম কার্ড গুলির ক্রয় বিক্রয় নিবারণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্গত টেলিকমিউনিকেশন দপ্তরের পক্ষ থেকে একাধিক কড়া পদক্ষেপ গৃহীত হলো। মোবাইলের সিম ব্যবহারকারীদের ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে সিম কার্ড কেনা বা বেচার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সাধারণত জাতীয় সুরক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের এই করা সিদ্ধান্ত।
আপনি যদি আগামী মাসেই নতুন সিম কিনে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি একেবারেই আপনার জন্য। এক্ষেত্রে ডিলার এবং গ্রাহক উভয়ের জন্যই বিভিন্ন নির্দেশাবলী প্রকাশ করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম। এই সমস্ত নির্দেশাবলী এবং এর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই পড়তে হবে এই প্রতিবেদন।
টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের নতুন নির্দেশ
১) ভারত সরকারের টেলি যোগাযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে সিম কার্ড বিক্রয়ের ডিলারদের প্রত্যেকের ব্যবসার নিবন্ধন এবং যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২) ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য টেলিকম অপারেটরদের কাছে ১২ মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এই সময়সীমা বৃদ্ধি করে ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখটিকে চূড়ান্ত দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩) এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কোন সিম ডিলার অথবা বিক্রেতাদের নাম উল্লেখ না থাকলে সেই ব্যক্তি বৈধভাবে মোবাইলের সিম বিক্রয় করতে পারবেন না।
৪) অর্থাৎ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের ৩১ তারিখের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করতে হবে। তবেই এপ্রিল মাসের এক তারিখ থেকে সিম কার্ড বিক্রয়ের বৈধতা লাভ করতে পারবেন ডিলাররা।
টেলিকম কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ভারতীয় টেলিকম বিভাগের পক্ষ থেকে সিম কার্ডের জালিয়াতি নিবারণের উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রতারণা এবং সমস্যার থেকে মুক্ত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এ নির্দিষ্ট দিনার মধ্যেই সকল টেলিকম কোম্পানিগুলির ডিলারদের রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে বলে করা নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর।
এই ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন আইডিয়া ইত্যাদি সংস্থাগুলি কোম্পানির ডিলারদের এবং এজেন্টের নামগুলি রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছেন। তবে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা BSNL কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনো এই কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। মূলত এই কারণেই অধিক সময়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।