মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৫ কবে দেবে? কোন ওয়েবসাইটে দেখা যাবে? বেশ কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি অভিভাবকদের মধ্যেও প্রচুর উদ্বেগ দেখা যায়। আসলে এই মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক জীবনের সঠিক দিশা নির্ধারিত হয়।
এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে কড়াকড়ি লক্ষ্য করা গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা যা চলছে ওই মাসেরই ২২ তারিখ পর্যন্ত। সরকারের সূত্রের খবর অনুযায়ী এই বছরে গতবছরের থেকে কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে এখন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন, পরীক্ষার রেজাল্ট (West Bengal 10th Result 2025) কবে বের হবে? এই প্রশ্নের উত্তরই এবার জানতে পারবেন আজকের প্রতিবেদন থেকে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষাটির আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে এই পরীক্ষা আয়োজিত হয়ে থাকে এবং এর রেজাল্ট বা ফলাফল (West Bengal 10th Result 2025) বের হয় মে মাসে। অর্থাৎ সেই হিসাবে দেখতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এখনো দুই মাসের অধিক সময় রয়েছে। তবে এই বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূত্রের কোন কোন খবরগুলি জানা যাচ্ছে তা জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে এই প্রতিবেদনটি।
মাধ্যমিকের প্রশ্নের মান
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মাধ্যমিক পরীক্ষা। দেশের বাঁকি বোর্ডগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই পরীক্ষাটি যথেষ্ট পরিমাণে কঠিন হয়ে থাকে। এই বছরে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যথেষ্ট পরিমাণে কঠিন হয়েছিল বলেই খবর। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিষয়ের কয়েকটি প্রশ্ন সিলেবাস বহির্ভূত অধ্যায় থেকে এসেছে বলেও দাবি জানিয়েছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
এই খবর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পৌঁছানো মাত্রই এই বিষয়ে যথেষ্ট পরিমাণে অনুসন্ধান চালানো হয়। এরপরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয় যে ওই পরীক্ষার প্রশ্ন আদতেই কঠিন হয়েছিল। সেই কারণে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা দেওয়ার প্রচেষ্টা করেছেন, তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নম্বর দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসেনি বলেই দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের।
অপরদিকে এই পরীক্ষাটি ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে হয়ে থাকে। অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করতে গেলে অন্ততপক্ষে ২৫ নম্বর পেতে হবে। এর মধ্যে মৌখিকের ১০ নম্বর সাধারণত বেশিরভাগ বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণটাই দেওয়া হয়। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় ৯০ নম্বরের মধ্যে ১৫ নম্বর পেলেই সেই ছাত্র কিংবা ছাত্রীকে উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে।
এক্ষেত্রে কোন ছাত্র কিংবা ছাত্রী যদি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নম্বর অর্থাৎ ১৫ থেকে ১ বা ২ নম্বর কম পেয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে ওইটুকু নম্বর প্রদান করে পাস করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যদিও এই অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস নম্বরের বিষয়ে সরকারিভাবে কোন রকম ঘোষণা করা হয়নি।
সাধারণভাবেই এই পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের মূল লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার একটি সাঁকো হওয়ার কারণে পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পরীক্ষার রেজাল্ট কবে প্রকাশিত হবে সেই নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে উদ্বেগ থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। তবে এখনো পর্যন্ত এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে এক মাসও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবেই বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ফলাফল প্রকাশের জন্য।
২০২৫ সালের মে মাসের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে বলে একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আসলে বিগত বছরগুলির ফলাফল প্রকাশের দিন পর্যালোচনা করেই এমনটা খবর পাওয়া যাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। যদিও এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোন রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।