লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢোকা বন্ধ! সবার নাম কাটা শুরু! আপনার নাম চেক করে নিন।
সম্প্রতি বেশ কিছু কারণে বাতিল করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের নাম। আপনার নামটিও এই তালিকায় নেই তো? জানার জন্য অবশ্যই পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।
একাধিক উপভোক্তার নাম বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে। রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে শুরু করা হয়েছিল এই দুর্দান্ত প্রকল্প। পরবর্তী সময়ে একে ভোট গ্রহণের চাল হিসাবে কটাক্ষ করা হলেও, এই সমস্ত কথায় একেবারেই কর্ণপাত করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে সাধারণ মহিলাদের প্রতিমাসে ১০০০/- টাকা এবং তপশিলি জাতি, উপজাতি ও আদিবাসী শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১২০০/- টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। সম্প্রতি বেশ কিছু কারণে বাতিল করা হয়েছে উপভোক্তাদের নাম। আপনার নামটিও এই তালিকায় নেই তো? জানার জন্য অবশ্যই পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বহু মহিলা নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পেরেছেন। এক দিক থেকে দেখতে গেলে এই প্রকল্পটি বিপুল পরিমাণে সফল হয়েছে।
কেন বাতিল হল উপভোক্তাদের নাম?
১) সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বেশ কিছু উপভোক্তা ভুয়ো নথিপত্র ব্যবহার করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এটি আইনত অপরাধ। সেই কারণে এই সমস্ত উপভোক্তাদের নাম বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
২) একাধিক ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে প্রকল্পের সুবিধাগুলি নেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক উপভোক্তা। এমন উপভোক্তার নামও বাতিল করেছে সরকার।
৩) ২৫ বছর বয়স থেকে এই প্রকল্পে আবেদন জানানো যায়। তবে বর্তমানে এই বয়সের কম বয়সী মহিলারাও তথ্য জাল করে আবেদন জানাচ্ছেন। এই বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
৪) এছাড়াও কোন ব্যক্তি যদি জয়েন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন অথবা তার ব্যাংকের KYC অসম্পূর্ণ থাকে, তাহলেও সেই ব্যক্তিকে উপভোক্তার তালিকা থেকে বাদ রাখা হচ্ছে।
কীভাবে আবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?
উপরে উল্লেখিত তালিকার মধ্যে যদি আপনার আবেদনটিও থেকে থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা দূর করতে হবে। ন্যূনতম ২৫ বছর বয়স থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সের মধ্যে উপভোক্তাদের এখানে আবেদন জানাতে হবে।
এর পাশাপাশি যৌথ একাউন্টের পরিবর্তে নিজের নামে কেওয়াইসি (KYC) করা সঠিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে হবে। সঠিক পদ্ধতি মেনে আবেদন জানালে অবশ্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদনটি গৃহীত হবে এবং প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।