ফোন থেকে বানাও ‘শ্রমিক কার্ড’! ১লাখ টাকার সুবিধা পাবে।

By: Goutam Mondal

On: March 5, 2025

Follow Us:

Labour Card Registration

ভারতবর্ষের অসংগঠিত শ্রমিক শ্রেণীর জন্য লেবার কার্ড বা শ্রমিক কার্ড একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই শ্রমিক কার্ড এর মাধ্যমে দেশের অস্থায়ী শ্রমিকেরা বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

Whatsapp Channel Follow
Telegram Channel Join

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিক কার্ড সম্পর্কিত বেশ কিছু কার্যক্রম অত্যন্ত সরল করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক কার্ডে আবেদনের পদ্ধতি, যোগ্যতা এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে।

লেবার কার্ড বা শ্রমিক কার্ড

দেশের অসংগঠিত শ্রমিক শ্রেণীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় পত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয় শ্রমিক কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি অসংগঠিত শ্রমিক এবং তার পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়।

শ্রমিক কার্ডের সুযোগ সুবিধা

১) শ্রমিক কার্ডের মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকদের পরিচয় এবং বিভিন্ন তথ্যাদি সরকারের কাছে গচ্ছিত থাকে। প্রতিটি কার্ডের ইউনিক নম্বর থেকে শ্রমিক সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য বিশদে জেনে নেওয়া সম্ভব হয়।

২) ভারত সরকারের দ্বারা শ্রমিকদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন যোজনা এবং আর্থিক সহায়তার লাভ পেতে প্রয়োজন হয় শ্রমিক কার্ডের।

৩) শ্রমিকদের প্রতিমাসে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ভাতার বন্দোবস্ত করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় শ্রমিক কার্ডের।

আবেদনের যোগ্যতা

১) শ্রমিক কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার জন্য অবশ্যই আবেদনকারীকে ভারতবর্ষের অস্থায়ী শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে থাকতে হবে।

২) কোনরকম সংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে কাজ করলে এই কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না।

৩) ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হয়ে থাকলে তবেই শ্রমিক কার্ডের জন্য আবেদন জানানো যাবে।

আবেদন পদ্ধতি

সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের সাহায্যে খুব সহজেই শ্রমিক কার্ডে আবেদন করার সুযোগ করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা অবশ্যই নিজের মোবাইল ফোন থেকে ‘E-Shram Card’ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাবেন।

আবেদনের জন্য প্রথমেই নিজের মোবাইল নম্বর এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের সাথে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্টটি লগইন করে আবেদনপত্র যথাযথ তথ্যের সাথে পূরণ করে জমা করতে হবে। এখানে আবেদনের জন্য কোন রকম আবেদন মূল্য নেওয়া হয় না।

অনলাইন মাধ্যমে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর আধার কার্ড, বার্ষিক পারিবারিক আয়ের প্রমাণপত্র, ঠিকানার প্রমাণপত্র, বয়সের প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি একত্রিত করে জমা দিতে হবে। আবেদন হয়ে গেলে নিয়মিতভাবে সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করে নেবেন।

গৌতম মণ্ডল WB Tathya সাইটের Owner এবং কন্টেন্ট রাইটার। বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট লিখছেন। বারাসাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস নিয়ে স্নাতক।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment