দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য এবার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা বেকারত্বের সমস্যায় নাজেহাল সারা দেশ। সেই কারণেই এবার কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসন্ধানের উদ্দেশ্যে এক দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এখানে ক্ষুদ্র ছোট এবং মাঝারি ব্যবসাগুলিকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করছে আর্থিক সহায়তা প্রকল্প। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে সরকারি চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে নিজের একটি সফল ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য।
প্রতিবেদনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সম্পূর্ণ বিবরণ থাকছে আপনাদের সামনে। এখানে প্রকল্পের নাম, উদ্দেশ্য, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি সমস্ত কিছুই উল্লেখ করা হবে। তাই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়ে যান।
প্রকল্পের নাম ও বিবরণ
দেশের ৪০ কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের দায়িত্বভার নেবে এবার কেন্দ্র। এই উদ্দেশ্যেই ক্ষুদ্র ছোট এবং বৃহৎ ব্যবসা ওগুলিকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ই-মুদ্রা ঋণ প্রকল্প শুরু করা হলো। ২০১৫ সাল থেকেই এই প্রকল্পটি ভারতবর্ষে চালু রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছোটখাটো ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ পেতে সক্ষম হন। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্ধবছর বাজেটে এই প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রকল্পের শ্রেণীবিভাগ
শিশু ঋণ: এই বিভাগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
কিশোরর ঋণ: মুদ্রা ঋণ প্রকল্পের এই বিভাগের মাধ্যমে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারবেন উপভোক্তা।
তরুণ ঋণ: এটি সবথেকে বড় লোন পাওয়ার বিভাগ। এখানে ইচ্ছুক ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
সুদের পরিমাণ
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঋণ প্রকল্প ছোটখাটো ব্যাবসায়ীদের নিজেদের ব্যবসা সঠিকভাবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্য শুরু করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যার ঋণ দেওয়া হয়, শোধ করার জন্য ৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে সরকার।
আবেদন পদ্ধতি
কেন্দ্রীয় সরকারের ই-মুদ্রা ঋণ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার www.onlinesbi.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও অফলাইন মাধ্যমে নিকটবর্তী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে বা সহায়তা কেন্দ্রের যোগাযোগ করেও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানানো যাবে।
