মা ক্যান্টিন স্কিম! আর খেতে হবে না হোটেলে। ৫ টাকা পকেটে থাকলেই হবে!

By: Goutam Mondal

On: March 8, 2025

Follow Us:

Maa Canteen Scheme

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মা ক্যান্টিন খোলা নিয়ে বড়সড়ো উদ্যোগ নেওয়া হল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বর্তমান যুগেও মাত্র পাঁচ টাকায় রাজ্যের অভাবী মানুষদের রোজকার খাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

Whatsapp Channel Follow
Telegram Channel Join

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেরই একাধিক জেলাতে মা ক্যান্টিনের মাধ্যমে খাবার বিতরণ করার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হল। এর পাশাপাশি রাজ্যের মহিলাদের নতুন কর্মসংস্থানের (Employment Generation) সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

২০২৪ সালের লোকসভা (Lok Sabha) নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুর্দান্ত ফলাফলের পরেই রাজ্যের উন্নয়ন সাধনে পুনরায় উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

বর্তমান যুগে মাত্র পাঁচ টাকায় লজেন্স ছাড়া সেরকম আর কিছুই পাওয়া যায় না। সেখানে ভাত ডিম সহ পেট ভরা খাবারের সরবরাহ প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করা হয়। সেই অসাধ্যকেই সাধন করে দেখিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উদ্যোগে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে রাজ্যের অভাবী মানুষদের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়ে থাকে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা এক সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে যে রাজ্যের বিভিন্ন পৌর এলাকাগুলোর মধ্যে মোট ১১০০ টি বাজার এলাকা রয়েছে। এই এলাকাগুলিতেই আগামী দিনে নতুন করে মা ক্যান্টিন (Maa Canteen) খোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।

এই প্রকল্পের শুরু থেকেই রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগে রান্নাবান্না এবং অন্যান্য কাজের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মহিলাদের এই পদে কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। মা ক্যান্টিন শুরু করা হয়েছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। বর্তমানে তিন বছর কেটে যাওয়ার পরেও এর জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি।

এই প্রকল্পের (Scheme) মাধ্যমে দেশের বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন অভাবী মানুষেরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন এক বেলার ডিম ভাত পেয়েছেন, তেমনি প্রচুর মহিলার কর্মসংস্থানও হয়েছে এই প্রকল্পের হাত ধরেই। গোটা রাজ্যে মাত্র ৩২ টি ক্যান্টিন উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল মা ক্যান্টিনের পথচলা। এরপর ২০২২ সালে মোট ক্যান্টিনের সংখ্যা হয়েছিল ৩৩০টি।

এই প্রকল্প প্রাথমিকভাবে রাস্তার ধারে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্যই বানানো হয়েছিল। যে সমস্ত মানুষেরা সারা দিনের কাজের ফাঁকে বাড়িতে গিয়ে খাবার খাওয়ার সময় পান না, তারা যাতে দুপুরের সময় ভালোভাবে পেট ভরে খাবার খেয়ে নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই শুরু করা হয়েছিল।

সময়ের সাথে সাথে এই প্রকল্পের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় ক্যান্টিনের সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণায় বেজায় খুশি রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই দুর্দান্ত ঘোষণায় রাজ্যের মহিলারাও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

গৌতম মণ্ডল WB Tathya সাইটের Owner এবং কন্টেন্ট রাইটার। বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট লিখছেন। বারাসাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস নিয়ে স্নাতক।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment