বাড়ি বসে শুরু করুন প্যাকিং-এর ব্যবসা! প্রতিমাসে 20 হাজার টাকা আয় হবে।
এখানে বলা হচ্ছে প্যাকেজিং ব্যবসার বিষয়ে। এটি এমন একটি কাজ যা বাড়ির মহিলারাও ঘরে বসে সহজেই করতে পারে। আসলে খাবার, পানীয়, এফএমসিজি পণ্য সরবরাহের জন্য বিশেষ প্যাকেজিং প্রয়োজন। বাড়ির যে কোনও একটা রুম থেকেও প্যাকিং ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

বর্তমানে বহু যুবক যুবতীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসার দিকে ঝোঁক বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে চাকরির দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রবেশের কারণে বহু বড় বড় কোম্পানি চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন পদের জন্য নিয়োগ করছে না। পাশাপাশি বেড়ে চলেছে বেকারত্বের পরিমাণ। গোটা দেশ জুড়ে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের সংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু সেই তুলনায় বাড়ছে না কাজের পরিমাণ। তাহলে কি যোগ্য যুবক-যুবতীদের শেষ পরিণতি বেকারত্ব?
না, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ বর্তমানে যুবক-যুবতীরা চাকরির প্রচেষ্টা ছেড়ে দিয়ে অনেকেই ব্যবসার দিকে মনোননিবেশ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার গলি ও দেশ থেকে বেকারত্ব দূরীকরণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্টার্টআপ ব্যবসা গুলিকে সমর্থন করছে।
তবে নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে অনেকেই লাভ লোকসানের বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। আমরা আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জন্যই এমন এক দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া জানাতে চলেছি যেখানে অধিক পরিমাণে লাভ করা সম্ভব।
অভিনব ব্যবসার আইডিয়া
চাকরি ছেড়ে ব্যবসা থেকে মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন যুবক-যুবতীর মনে প্রথমে মূলধন এবং সেই মূলধনকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর পদ্ধতি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। কিন্তু বাজারে এমন অনেক ব্যবসার নিত্য নতুন আইডিয়া রয়েছে, এখানে আপনাকে এক টাকাও বিনিয়োগ করতে হবে না।
Read More: ফ্লিপকার্ট ও Paytm কোম্পানিতে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম চাকরির সুযোগ! মাধ্যমিক/12th পাশে আবেদন করতে পারবে।
এমনই একটি দুর্দান্ত ব্যবসার উপায় হল প্যাকেজিংয়ের কাজ। বর্তমান সময়ে মূলত ই-কমার্স কোম্পানি গুলির রমরমা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এই প্যাকিংয়ের কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে যুবক যুবতীদের নিয়োগ করা হচ্ছে।
এবার আপনি যদি এই ধরনের প্যাকিংয়ের কাজগুলি করতে পারেন, তাহলে আপনার বাড়িতে বসেই প্রচুর টাকার রোজগারের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি এই প্যাকিংয়ের কাজ গুলি বাড়িতে বসে বাড়ির যেকোনো সদস্যের দ্বারা আপনি করিয়ে কোম্পানির কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য দুটি পদ্ধতিতে রোজগার শুরু করতে পারেন- ১) কোম্পানি বা সংস্থার থেকে সরাসরি কাজের অর্ডার নিয়ে এবং ২) খুচরো বিক্রেতার থেকে প্যাকিংয়ের কাজের অর্ডার নিয়ে।
কোম্পানি বা সংস্থার থেকে সরাসরি কাজের অর্ডার নিয়ে প্যাকিংয়ের কাজ
আপনি নদী একেবারেই ন্যূনতম মূলধন বিনিয়োগে অথবা কোনরকম মূলধন বিনিয়োগ না করে প্যাকিংয়ের ব্যবসাটি প্রাথমিকভাবে শুরু করতে চান, তাহলে আপনার কাছে সবথেকে ভালো বিকল্প হবে যে কোন নামিদামি সংস্থার থেকে সরাসরি প্যাকিংয়ের কাজের অর্ডার নেওয়া।
এক্ষেত্রে প্যাকিংয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আপনি আপনার বিভিন্ন কাজের মাঝে সময় বার করে এই কাজগুলি করে সরাসরি কোম্পানির ঠিকানায় জিনিসপত্র পাঠিয়ে দিতে পারবেন।
এই কাজের বিনিময়ে আপনার প্রতি মাসে ২০,০০০/- টাকা থেকে ৩০,০০০/- টাকা পর্যন্ত রোজগার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি যেহেতু এটি একটি সংস্থার হয়ে আপনি কাজ করবেন, এখানে আপনার লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
খুচরো বিক্রেতার থেকে অর্ডার নিয়ে প্যাকিংয়ের কাজ
এবার আপনি যদি বড় বড় কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন অথবা উচ্চমাত্রায় তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনি প্রাথমিকভাবে নিজের নিকটবর্তী কোন দোকান থেকে অথবা ক্ষুদ্র বিক্রেতার থেকে অর্ডার নিয়ে এই একই কাজ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে অনেক সময়ই আপনাকে নিজের মূলধন লাগিয়ে প্যাকিং এর সরঞ্জাম কিনে প্রাথমিকভাবে প্যাকিং করতে হতে পারে। এক্ষেত্রেও আপনার প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে ১০,০০০/- টাকা রোজগারের সুযোগ রয়েছে।
কোম্পানি বা খুচরো বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ কিভাবে করবেন?
এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন নামিদামি ই-কমার্স কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে মূলত কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারলে এই কাজের সুযোগ সহজেই পাওয়া যায়। এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ম্যানেজারের ফোন নম্বর অথবা ইমেইল আইডি সংগ্রহ করে যোগাযোগ করতে পারেন।