চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করা কিংবা পুরনো ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার কিন্তু আর চিন্তা করতে হবে না। কারণ ভারতের সাধারণ মানুষের ব্যবসায় অগ্রগতির জন্য এবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের সরকার। নতুন ব্যবসা শুরু করা কিংবা ব্যবসার অগ্রগতি, সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় মোটা অংকের টাকার। তাহলে কি ব্যবসার স্বপ্ন দেখা ভুল? একেবারেই নয়, আপনাদের স্বপ্নের ব্যবসাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবার কেন্দ্রীয় সরকার দেবে স্বল্প সুদে দুর্দান্ত ঋণের অফার।
সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে কয়েকটি লোন যোজনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। এবার প্রশ্ন হল, এই মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ঠিক কত টাকার লোন পাওয়া যায়? একবার লোন নিলে কত দিনের মধ্যে শোধ করতে হয়? কত টাকা করে সুদ দিতে হয়? সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই এক এক করে মিলবে আজকের প্রতিবেদনে।
প্রকল্পের নাম
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY)।
কোন কোন যোগ্যতা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যায়?
১) প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অন্তর্গত লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভারতবর্ষের নাগরিক হতে হবে।
২) কর্পোরেট ব্যবসা বা কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবসা বাদে যে কোন ব্যবসার জন্য এই লোন নিতে পারেন।
৩) অন্তত পক্ষে ১৮ বছর বয়স থেকে এই লোনের জন্য আবেদন জানানো যায়।
প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনা লোন এর প্রকারভেদ:
১) শিশু ঋণ- এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা,
২) কিশোর ঋণ- এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা,
৩) তরুণ ঋণ- এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা এবং
৪) তরুণ প্লাস ঋণ- এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
কত দিনের মধ্যে লোন শোধ করতে হবে?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে একবার ঋণ নিলে ন্যূনতম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে সেই লোন শোধ করতে হয়। এমনকি পাঁচ বছরের মধ্যে যদি আপনি লোনটি শোধ করতে না পারেন, আরো ৫ বছর পর্যন্ত তার সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।
সুদের পরিমাণ
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় মঞ্জুর করার ঋণের উপর কোন রকম সুদ দিতে হয় না। তবে আপনি মঞ্জুর করার লোনের টাকা থেকে যত পরিমাণ লোন তুলবেন, তার ওপরে অত্যন্ত স্বল্প হারে সুদ দিতে হবে।
কীভাবে প্রকল্পে আবেদন জানাবেন?
সরকারি এই দুর্দান্ত লোনে আবেদনের জন্য আপনাকে mudra.org.in -এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর মুদ্রা যোজনা অন্তর্গত মোট চার ধরনের লোনের মধ্যে থেকে আপনার পছন্দমত লোন ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে আবেদন জানাতে হবে। আবেদনপত্র পূরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নথি গুলিতে হবে এবং নিকটবর্তী যে কোন ব্যাংকে গিয়ে জমা করতে হবে। এরপর ব্যাংকের তরফে আবেদনটি যাচাই করে দেখে আপনার জন্য লোনের অংক মঞ্জুর করা হবে।