প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে উপভোক্তারা এবার পাবেন ১৫০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা। ক্ষুদ্র মাঝারি এবং ছোট শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে শুরু করা হয়েছিল বিশ্বকর্মা যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ছোটখাটো শিল্পগুলির উন্নতির বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা
সারা দেশের কারিগর মানুষের কাছে উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে শুরু করা হয় এই অভিনব প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম এবং কাজের আধুনিকীকরণের উপর দৃষ্টিপাত করে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কারিগরি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
নতুন বছরের শুরুতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫,০০০/- টাকার টুল কিট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ছুতোর, নৌকা প্রস্তুতকারী, কুমোর, মূর্তিশিল্পী, রাজমিস্ত্রি, নাপিত, কামার, স্বর্ণকার, চর্মকার, ধোপা, মালাকার ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্রকল্পে।
প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা
১) প্রতিটি কারিগরির কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি মূল্যবান সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
২) নতুন বছরের শুরুতে এই প্রকল্পের অন্তর্গত ব্যক্তিরা ১৫ হাজার টাকার টুল কিট পাবেন বলেও জানা যাচ্ছে।
৩) এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের ৫ থেকে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ এবং প্রতি মাসে ৫০০ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
৪) এছাড়াও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরিরা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
আবেদনের যোগ্যতা
১) ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স থেকে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারেন ইচ্ছুক কারিগরিরা।
২) এই প্রকল্পের অন্তর্গত বিভিন্ন শিল্প কর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এখানে আবেদন জানাতে পারবেন।
৩) বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১৮ টি শিল্প নথিভুক্ত করা হয়েছে। কারিগরিদের শিল্পকর্মের নিরিখে এখানে আবেদন জানাতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
পিএম বিশ্বকর্মা -পোর্টালে গিয়ে সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে কারিগরিদের। এর জন্য অবশ্যই একটি বৈধ মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রের প্রয়োজন হবে। আবেদনের সময় প্রতিটি আবেদনকারীকে আধার কার্ডের সঙ্গে বায়োমেট্রিক লিংক করিয়ে নিতে হবে। এরপরে আবেদন পত্রটি জমা করলে যোগ্য প্রার্থীরা বিশ্বকর্মা ডিজিটাল আইডি এবং সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।