সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার পদে ট্রেনিং নিতে চাও তো আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ো। রাজ্যে তথা সারা দেশ জুড়ে সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার পদে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কেন দেয়া হয় বা সিভিল ডিফেন্স কেন নিয়োগ করা হয়?
দেখো কোনরকম বিপর্যয় আসলে তখন কিন্তু এই সিভিল ডিফেন্সরাই তারা কিন্তু উদ্ধারকার্য চালায়। ধরো, ভূমিকম্প হলো বন্যা হলো কোথাও আগুন লেগে গেল। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যারা উদ্ধার কার্য চালায় তারা হচ্ছে এই সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার। ভলেন্টিয়ার মানে স্বেচ্ছাসেবক অর্থাৎ যারা নিজের ইচ্ছে তে কোনোরকম পারিশ্রমিকের আশা না রেখে সেবা বা কাজ করে।
কাজের ধরণ ও সরকারি ভাতা
সরকার বলছে যে- আমরা ফ্রি ফ্রি কেন কাজ করাবো? আমরা তোমাদেরকে একটা সান্মানিক ভাতা দেবো। মানে এটা কোন চাকরি নয় কিন্তু কাজ করলে দৈনিক পারিশ্রমিক পাবে। মানে তুমি কাজ করলে তুমি এখানে কিছু টাকা পেলে। কাজ করলে না টাকা পেলে না।
এতে করে সরকারের কি লাভ হচ্ছে? মানুষজনদেরকে শেখাতে পারছে প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid) এবং বিপদের সময় কি কাজ করতে হয়? কিভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হয়? এই সম্পর্কে সরকার সচেতন করছে এই সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার প্রশিক্ষন করিয়ে।
Read More: অ্যামাজনে ঘরে বসে কাজের সুযোগ! ডাটা এন্ট্রির কাজ সপ্তাহে ৫দিন।
ইন্ডিভিজুয়াল যে সমস্ত ব্যক্তিরা আছে, যেমন তুমি-আমি বা সাধারণ মানুষ। তাদের সুবিধা কি তারা একটা প্রশিক্ষণও পেল, কিছু কাজও জানতে পারলো এবং যখন যেখানে দরকার সেখানে কাজ করে কিছু ইনকামও করতে পারলো।
এই প্রশিক্ষণটা কোথায় হবে?
তোমার নিজের এলাকায় এই প্রশিক্ষণটা নিতে করানো হবে। যেমন আমার বাড়ি হচ্ছে হাবড়াতে। তো হাবড়ার কোন এলাকায়, সেটা কোন ব্লক অফিসে হতে পারে বা BDO অফিসে হতে পারে, কোন স্কুলের মাঠে হতে পারে। আবেদন করার পরে, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তোমার সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং প্রশিক্ষনের স্থান, সময় ও তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
শুধু সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার বলে না। প্রচুর ট্রেনিং এখানে দেয়া হচ্ছে। তুমি বিভিন্ন আলাদা আলাদা ট্রেডে ট্রেনিং নিতে পারো। যেমন এখানে রয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। এবার সাইবার সিকিউরিটি এরকম বিভিন্ন ট্রেড রয়েছে। আমি ইন ডিটেইল সমস্ত কিছু আলোচনা করছি। তার আগে এলিজিবিলিটি বা যোগ্যতা বলি।
যোগ্যতা, বয়স ও অভিজ্ঞতা
১) পশ্চিমবঙ্গের যেকোন জেলা থেকে ছেলে বা মেয়ে সবাই এখানে এপ্লাই করতে পারবে। নিজের জেলায় এই প্রশিক্ষণ নিতে পারবে একদম বিনামূল্যে।
২) বয়স মিনিমাম ১৮ বছর বয়স হলে আবেদন করতে পারবে। বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বচ্চ বয়সসীমা ভিন্ন ভিন্ন থাকে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সর্বচ্চ ৪০ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে।
৩) শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস এইট পাস। অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকলে এপ্লাই করতে পারবে। তাছাড়া মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী থাকলেও আবেদনযোগ্য। কোন অভিজ্ঞতা লাগবে না। তুমি যদি মানুষের সেবা করতে ইচ্ছুক থাকো, তাহলে এই প্রশিক্ষণ নিতে পারো।
সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার-দের কখন দরকার পরে?
যখন পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়, সেই সময় সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার-দের ডাক পড়বে। যেমন করোনার সময় প্রচুর পরিমাণে সিভিক ভলেন্টিয়ার দরকার পড়েছিল। সব থেকে দরকার পড়েছিল নার্স এবং ডাক্তারদের। কিন্তু সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার তো সেই সমস্ত কাজ করতে পারবে না।
১) তাদেরকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য,
২) জন সাধারনদের করোনা সম্পর্কে সচেতন করার কাজে,
৩) আমফান ঝরে রাস্তায় গাছ, কারেন্টেরম খুঁটি ভেঙে পড়েছিল, তা পরিষ্কার করার জন্য
৪) কোথাও বন্যা হল বা আগুন লেগে গেল, সেখানেও উদ্ধার কাজে।
পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য হোক বা কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেগুলো মোকাবেলা করার জন্য হোক। সবক্ষেত্রে, এই সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারদের দরকার পড়ে।
কাজের পরিধি ও স্থানীয়তা
প্রশিক্ষন নেবার পর, রাজ্য তথ্য দেশের যেকোন জায়গায় কাজের জন্য যেতে হতে পারে। তুমি যে পশ্চিমবঙ্গে ট্রেনিং নেবে এবং পশ্চিমবঙ্গে যে তোমার কাজ হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। এমন হতে পারে তোমার রাজ্যের বা দেশের যেকোন জায়গায় তোমার কাজ হলো। সেক্ষেত্রে, সরকার নিয়ে যাওয়া, থাকা-খাবার ব্যবস্থা, সমস্ত কিছু সব সরকার দেখবে। তুমি শুধু নিজে কাজ করবে।
আবেদন পদ্ধতি
Step 1: mybharat.gov.in পোর্টালে গিয়ে সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে এখানে আবেদন করতে হবে। mybharat এইটা গভর্মেন্টের পোর্টাল। যেহেতু এটা গভর্মেন্টের পোর্টাল এখানে একদম জেনুইন সব কিছু হয়।
Step 2: প্রথমে mybharat.gov.in এই ওয়েবসাইটটা ওপেন করতে হবে। এরপরে, Join Civil Defence অপশনে ক্লিক করতে হবে।
Step 3: এরপরে, মোবাইল নাম্বার এবং OTP দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপরে, আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।