ভারতবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে এক নতুন কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বিষয়ের সমস্ত রেকর্ড এক জায়গায় একসাথে ডিজিটালাইজ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন প্রকল্পটি ছাত্রছাত্রীদের জীবনে এনে দেবেন নতুন মোড়।
ভবিষ্যৎ সময়ে ছাত্রছাত্রীদের জীবন লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাই অভিভাবকেরা অবশ্যই আজকের প্রতিবেদনটির সম্পূর্ণ পড়ে নিয়ে এই নতুন প্রকল্পে আবেদন করার সমস্ত নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অপার আইডি কার্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপার কথাটির পুরো কথা হলো অটোমেটিক পারমানেন্ট একাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি” (Automatic Permanent Academic Account Registry)।
ভারতবর্ষের আধার কার্ডের মতই এই কার্ডের মাধ্যমে ভারতের ছাত্রছাত্রীদের একটি ইউনিক নম্বর প্রদান করা হবে। এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্ত শিক্ষাগত জীবনের বিবরণ থাকবে এই কার্ড এর মধ্যেই।
অপার আইডি (Apaar ID)
বর্তমান সময়ে যেভাবে চাকরি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাকরির সময় বিচার করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয় চাকরি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ গুলিকে যার কারণে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনে লেগে যায় অনেক সময়। সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই নতুন আইডি সিস্টেম শুরু করতে চলেছে।
এই আইডির মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীর নিজেদের পরিচয়, অভিভাবকের পরিচয় এবং তাদের সমস্ত অ্যাকাডেমিক জীবনের সাক্ষ্যপ্রমাণ মজুত থাকবে। ছাত্রছাত্রীরা চাইলেও কোনরকম জাল রেজাল্ট বা ফলাফল তৈরি করতে পারবে না।
কারণ এই অপার আইডি কার্ডের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীর সম্পূর্ণ শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন তথ্য গচ্ছিত থাকবে। এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীর বিভিন্ন খেলাধুলা বা এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি, স্কলারশিপের পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য রাখা হবে একটি আইডি কার্ডের মধ্যেই।
এই একটি আইডি কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীর সম্পূর্ণ পড়াশোনা জীবনের ইতিহাস থেকে শুরু করে পেশাগত জীবন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া সম্ভব হবে। এর কারণে আশা করা যাচ্ছে যে চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগও তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে।
যেহেতু আপার আইডি কার্ডের ছাত্র ছাত্রীর বিভিন্ন তথ্য গচ্ছিত থাকবে সেই কারণে এটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ডিজি লকারের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য যাচাইকরণ এবং কর্মসংস্থানও সঠিক উপায়ে করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এখনো পর্যন্ত অপার আইডি কার্ড তৈরি করা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হবে এই কার্ড তৈরি করতে। তবে ছাত্র জীবনের সমস্ত তথ্য সুরক্ষিতভাবে গচ্ছিত রাখার জন্য এই আইডি কার্ডের প্রকল্প একটি নতুন মাত্রা দিতে পারে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে।