পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ও সর্বোচ্চ প্রচলিত সরকারি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ২০২১ সাল থেকে শুরু হয় এই প্রকল্পের যাত্রা। তারপর থেকেই দেশে এমনকি বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে এই প্রকল্পের রমরমা।
তবে এবার সমস্ত বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে পিছনে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবার নিয়ে এলো এক নতুন প্রকল্প। যার মাধ্যমে নারী পুরুষ সকলেই প্রতিমাসে ১০০০ বা ১২০০ নয়, বরং নগদ ২০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্প সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনটিতে।
প্রকল্পের নাম- এই প্রকল্পটি হল কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিশেষ পেনশন প্রকল্প।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
বিশেষ এই পেনশন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবী মানুষেরা ছাড়াও অন্যান্য কর্মসংস্থানের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তারাও সরকারের পক্ষ থেকে পেনশন পেয়ে যাবেন। চিন্তা করতে হবে না আর কারোর ভবিষ্যৎ বা বার্ধক্য সময়ের কথা।
সরকার এবার নিজের কাঁধে তুলে নিল দেশের বয়স্ক মানুষদের দায়িত্বভার। এই পেনশন প্রকল্পে আবেদন করলে বার্ধক্য অবস্থায় অর্থাৎ ষাট বছরের ঊর্ধ্বে প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০০০ টাকা করে আর্থিক ভাতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও মিলবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারত বর্ষের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছর কিংবা তার ঊর্ধ্বে হতে হবে।
৩) আবেদনকারীকে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে থাকতে হবে।
৪) কোনরকম সরকারি দপ্তরের কর্মচারী হয়ে থাকলে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে না।
প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধা
এই প্রকল্পে আবেদন করার পরে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেনশন একাউন্টের জমা হতে থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর আবেদনকারীর ৬০ বছর পূর্ণ হলে তারপর থেকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে আবেদনকারীর সেভিংস ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে আবেদনকারী বিভিন্ন ধরনের বীমা পরিষেবার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
আবেদন পদ্ধতি
এক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমে সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন পত্র পূরণ করে জমা করা যেতে পারে অথবা সম্পূর্ণ অফলাইন মাধ্যমে নিকটবর্তী ব্লক অফিসে গিয়ে আবেদন পত্র হাতে-কলমে পূরণ করে জমা করতে পারেন আবেদনকারীরা।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- বয়সের প্রমাণপত্র
- আবেদনকারীর আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড
- ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতার ছবি বা জেরক্স
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই আর বেশি দেরি না করে যত শীঘ্রই সম্ভব নিজের আবেদনটি করে ফেলুন।