মোট ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে এবার! আবার ভারতবর্ষে শুরু হতে চলেছে জনগণনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়কালে ভারতের মানুষ প্রথমবারের জন্য জনগণনা দেখতে চলেছে।
কিছুদিন আগেই এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে ভারতের জনসংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে চীনের জনসংখ্যাকে। এবার সেই বিষয়েই নিশ্চিত হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। তাহলে আজ জনগণনা সম্পর্কেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করে নেওয়া যাক।
জনগণনার (Census) গুরুত্ব
সারা দেশে মোট কতজন মানুষ বসবাস করছেন, পুরুষ এবং মহিলার অনুপাত কত, কতগুলি শিশু রয়েছে, শিশুদের মধ্যে ছেলে এবং মেয়ের সংখ্যা কেমন ইত্যাদি সমস্ত গণনার জন্যেই মূলত জনগণনা হয়ে থাকে। সাধারণভাবে জনগণনা করলে সারাদেশে মোট বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। এর পাশাপাশি ভারতবর্ষের নাগরিক সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে জনগণনার মাধ্যমে।
এই জনগণনা সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এক একটি প্রকল্পের জন্য কতজন উপভোক্তা থাকতে পারে এবং তার জন্য বাজেট (Budget) নির্ধারিত করতে দেশের বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
জনগণনার সময়কাল
সাধারণভাবে ভারতবর্ষের নিয়ম অনুসারে প্রতি ১০ বছরে একবার করে জনগণনা হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি কালে দেখা গিয়েছে যে মোট ১৩ বছর ধরে স্থগিত রয়েছে জনগণনা। ভারতবর্ষের সবার শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। ২০১৫ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একবারের জন্যেও জনগণনা হয়নি।
দশ বছরের হিসাব করলে দেখা যায় যে ২০১১ সালের পর ২০২১ সালেই প্রথাগতভাবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় করোনা অতিমারির প্রকোপের কারণে সারা দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষিত ছিল। সেই কারণেই ২০২১ সালে জনগণনা সম্ভব হয়নি। তারপরে অতিমারির প্রকোপ শেষ হলেও বিগত প্রায় তিন বছর ধরে জনগণনা স্থগিত রয়েছে। এর পেছনে মূলত রাজনৈতিক কারণ কেই দায়ী করা হয়।
কবে হবে জনগণনা?
২০১১ সালের পর ২০২৪ সালে শুরু হতে চলেছে ভারতবর্ষের জনগণনা। লোকসভা নির্বাচনের আবহে জনগণনা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো রকম তথ্য প্রদান করা হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এবারে জানা যাচ্ছে যে পুনরায় ভারতবর্ষের জনগণনা অর্থাৎ আদমশুমারি হতে চলেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে এই জনগণনা।
এক্ষেত্রে, ভারতবর্ষের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গ্রহণ করা হবে। ভারতবর্ষের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে এই জনগণনার কাজ হবার কারণে এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুটা সময় লাগবে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে এই জনগণনা। আদমশুমারির সর্বোচ্চ ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২০২৬ সালে।