Civil Defence Training – আজ তোমাকে এমন একটা চাকরির কথা বলবো, যেটা শুধু চাকরি নয়, একটা দায়িত্ব, আর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বড় সুযোগ। তুমি যদি সত্যি সত্যি মানুষের জন্য কিছু করতে চাও, বিপদে–আপদে সবার আগে গিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাও — তাহলে তোমার জন্যই এই সুযোগ।
সিভিল ডিফেন্সে এখন ভলান্টিয়ার নেওয়া হচ্ছে। চলো, একদম বিশ্লেষণ করে তোমাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলি।
সিভিল ডিফেন্স মানে কী জানো?
শুনলে ভালো লাগবে — সিভিল ডিফেন্স আসলে আমাদের আশপাশের সেই মানুষগুলো, যারা যুদ্ধ হোক, বন্যা হোক, আগুন লেগে যাক বা ভূমিকম্প — যেকোনো বিপদের সময় সবার আগে এগিয়ে আসে।
এরা আসলে সরকারি ট্রেনিংপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার। মানে নিজের ইচ্ছায় শেখে আর বিপদের সময় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে।
ভারতে এই সিভিল ডিফেন্স প্রথম শুরু হয় 1968 সালে। তখন শুধু যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষকে বাঁচানোই এদের মূল কাজ ছিল। কিন্তু 2009 সালে আইন বদলে এদের আরও বড় কাজ দেওয়া হয় — প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সাহায্য করা।
কেন দরকার Civil Defence Training?
এটা ভাবো — যুদ্ধ বা বড় কোনো প্রাকৃতিক বিপদে শুধু সেনা আর পুলিশ কি সবকিছু সামলাতে পারে? না পারে না। ওরা যতই চাইুক, সবার কাছে পৌঁছাতে পারে না। তখন দরকার হয় লোকাল ভলান্টিয়ারদের — যারা আগেই ট্রেনিং পেয়ে তৈরি থাকে আর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই লোকাল নায়কই হলে তোমার মতো ছেলেমেয়েরা।
কে কে যোগ দিতে পারবে এই Civil Defence Training-এ?
- 18 থেকে 40 বছরের মধ্যে হলে তুমি যোগ দিতে পারবে।
- অন্তত মাধ্যমিক পাশ হওয়া চাই।
- শারীরিকভাবে ঠিকঠাক থাকা দরকার আর মানসিকভাবে শক্ত হওয়া দরকার।
- আর সবচেয়ে বড় কথা — মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকতে হবে।
ছেলে-মেয়ে সবাই করতে পারে। ছাত্রছাত্রীরাও পড়াশোনার পাশে করতে পারো।
তুমি কী কী শিখবে এই Civil Defence Training-এ?
- এই চাকরির মজার দিকটা হলো — আগে থেকেই তোমাকে ভালো করে শেখানো হবে। ফ্রি ট্রেনিং পাবে। কী শেখাবে শুনে নাও —
- আগুন নেভানো।
- বন্যা বা ভূমিকম্পে মানুষ উদ্ধার করা।
- আহতদের ফার্স্ট এইড দেওয়া।
- রাস্তা ঠিক করা, শেল্টার তৈরি করা।
- কেমিক্যাল বা নিউক্লিয়ার বিপদের সময় কী করতে হবে।
এগুলো শেখার পর তুমি নিজেই বুঝবে কত বড় দায়িত্ব তোমার হাতে।
Civil Defence Training কাজটা কেমন?
- সত্যি বলতে এরা পুরো দেশকে বাঁচানোর সৈনিক। যখনই কোনো বিপদ আসে — সবার আগে ছুটে যায়। যেমন —
- শহরে আগুন লাগলে ফায়ার ব্রিগেডকে সাহায্য করা।
- বন্যায় নৌকা নিয়ে মানুষকে নিরাপদে তোলা।
- যুদ্ধের সময় বোমা হামলা হলে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা।
- ট্রেনে দুর্ঘটনা হলে আহতদের বের করা।
- খাবার–পানি–আশ্রয়কেন্দ্র ম্যানেজ করা।
এই কাজের জন্য সরকার ভাতা দেয় আর সম্মানও অনেক বেশি।
সরকার কীভাবে সাহায্য করে?
তোমাকে ভাবতে হবে না — সরকার এই কাজের জন্য টাকা দেয়। সেন্ট্রাল আর স্টেট সরকার মিলে ফান্ড দেয়। ওই টাকায় তোমাদের ট্রেনিং, সরঞ্জাম আর ইউনিফর্ম সব দেওয়া হয়। এমনকি নর্থ–ইস্টে বেশি ফান্ড দেওয়া হয়।
আবেদন কিভাবে করবে এই Civil Defence Training-এ?
আগ্রহী প্রার্থীদের এখানে সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কেন্দ্র সরকারের সিভিল ডিফেন্সের অফিশিয়াল পোর্টালে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে মোবাইল নম্বর ও OTP দিয়ে। এরপরে, আবেদনকারীর সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
আবেদনের লিঙ্ক
Civil Defence | Apply Link |
Swiggy Work From Home | Click Here |
Wipro Work From Home | Click Here |
Jio Work From Home | Click Here |
তুমি কেন করবে?
সোজা কথা — টাকা-পয়সা তো যেকোনো চাকরিতেই পাবে। কিন্তু এই চাকরিটা শুধু পয়সার জন্য নয়। এখানে তুমি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারবে। বাঁচানো মানুষের চোখের কৃতজ্ঞতা আর আশীর্বাদ পাবে। এটাই আসল জিনিস।
আর এটা করলে দেশের জন্যও অনেক বড় কাজ করা হবে।
তো দেখলে? সিভিল ডিফেন্স কোনো বড় সাইনবোর্ডের চাকরি নয়। এরা আসলে আমাদের আশপাশের মানুষ — আর এখন সেই দলে তুমি নিজেও থাকতে পারো। যুদ্ধ হোক, বন্যা হোক, আগুন বা ছোট–খাটো দুর্ঘটনা — সব জায়গায় তুমি পাশে থাকবে।
তাই আর দেরি কোরো না। আজই গিয়ে ফর্ম জমা দাও। দেশের জন্য, মানুষের জন্য পাশে দাঁড়ানোর মতো আনন্দ আর কোথাও পাবে না।