২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই পরিবর্তন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পের। কী বিশ্বাস হচ্ছে না? আসলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের জনগণের হিতার্থে একাধিক দুর্দান্ত প্রকল্প চালু করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।
সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, চলতি বছরে আবার বাড়তে পারে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০/- টাকা থেকে ১২০০/- টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন বাংলার মা বোনেরা। তাহলে এবার কত টাকা বাড়বে? কবে থেকে শুরু হতে চলেছে এই পরিবর্তন? সমস্ত তথ্যই বিস্তারিতভাবে জানতে পড়তে হবে আজকের প্রতিবেদনটি
২০২১ সালে শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কালজয়ী প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার ২৫ থেকে ৬০ বছরের নারীদের সামাজিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই নারী শিক্ষা এবং নারী স্বনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে এসেছেন। এই উদ্দেশ্যেই বাংলার মাটিতে পদার্পণ হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ মহিলা নিজেদের জীবনযাত্রায় সফলভাবে এগিয়ে যাতে সক্ষম হয়েছেন।
Benefits
২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা লগ্নে প্রতিটি সাধারণ মহিলাকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০/- টাকা এবং তপশিলি জাতির মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০/- টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
এই পুরো ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয় ২০২৪ সালে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সাধারণ মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ১০০০/- টাকা এবং তপশিলি মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ১২০০/- টাকা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
নতুন বছরের নতুন পদক্ষেপ
আগামী বছর এই অর্থাৎ ২০২৬ সালে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২৯ লক্ষ ১০ হাজার নতুন মহিলার ভোট জমা পড়েছে তৃণমূলের নামে। এক্ষেত্রে মূলত গ্রামবাসী মহিলাদের ভোট প্রদানে উৎসাহিত করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।
২০২৫ সালের শুরুতেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ১০০০/- থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫০০/- টাকা এবং ২০০০/- টাকা হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সরকারি দপ্তর থেকে এখনো পর্যন্ত অফিসিয়াল কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।